1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন রোগে শতাধিক গরু আক্রান্ত, নেই পর্যাপ্ত টিকা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩
  • ১৪৯ বার পঠিত
তানভীর চৌধুরী কমলগঞ্জ Ó মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (পক্স বা বসন্ত) রোগ। গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলায় এ ভাইরাসে শতাধিক গরু আক্রান্ত হয়েছে। এমনকি ছাগলও আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে এই রোগের টিকা ও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে খামারি ও পশুর মালিকেরা পড়েছেন বিপাকে।
ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর মালিকেরা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে গরুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাসে পশুগুলো অনেক দুর্বল হয়ে যায়, মুখ দিয়ে লালা বের হয়, বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হয় ও সারা শরীরে গুঁটি বের হয়। আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় খামারি ও পশুর মালিকেরা আতঙ্কে আছেন। কয়েকটি গরু মারাও গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। একটি গরু আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে ৪ সপ্তাহ লাগে সুস্থ হতে। আক্রান্ত পশু অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে ভাইরাসটি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলার পৌর এলাকা, পতনঊষার, রহিমপুর, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ খামারি ও কৃষকের গরু আক্রান্ত হয়েছে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, গত ২০ দিনে এই উপজেলায় ১২০ টির মতো গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসায় ৭০টি গরু সুস্থ হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় প্রতি বছর এ সময়ে এই ভাইরাসটি বৃদ্ধি পায়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আক্রান্ত পশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের গরুর মালিক আকলুছ মিয়া, হুসাইন আহমদ বলেন, হঠাৎ করে আমাদের গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে সারা শরীরে গুঁটি বের হয়। খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেয়। একটা সময় মনে হয়েছে গরুগুলো মারা যাবে। এখন ওষুধ ব্যবহার করছি। আমরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সঠিক চিকিৎসা পেলে গরুগুলো সুস্থ হয়ে উঠত।

কমলগঞ্জ উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রানা লাল রায় বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম আসলে গবাদিপশুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মশা, মাছি ও পোকা থেকে। টিকার সংকট থাকায় আক্রান্ত পশুর সংখ্যা বাড়ছে। আমরাও চিকিৎসা দিচ্ছি গ্রামে গঞ্জে গিয়ে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..